Monday, May 22, 2017

বিগ ডাটা

বিগ ডাটাকে এক ধরণের বাজওয়ার্ড বলা যায়। কেউ যখন একসাথে অনেক বেশি পরিমাণ নিয়ে কাজ করে তখনি তাকে বিগ ডেটা বলে। এই বিগ ডেটা সাধারণত আনস্ট্রাকচার্ড ডেটার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।

অর্থ্যাৎ, ডেটা এমনভাবে আছে যে সরাসরি ব্যবহার করার উপায় নাই। তখন বিভিন্ন এলগরিদম ব্যবহার করে সেই ডেটা থেকে নানা তথ্য উপাত্ত বের করা হয়
প্রতিদিন বিভিন্ন উৎস থকে প্রচুর পরিমাণে তথ্য পাওয়া যায়। যেমনঃ গুগল সার্চ, পাস পোর্ট স্ক্যান, বার কোড রিডিং, ভয়ে জ মেসেজ, অনলাইন শপিং হিষ্ট্রি, সিসি টিভি ফুটেজ।

ধারনা করা হচ্ছে একটা সময় বড় বড় কোম্পানি গুলোর বোর্ড অব ডিকেক্ট্ররের পদ গুলো তে দেখা যাবে কম্পিউটারের দখলে। কেননা এসব পদ্গুলোতে আসীন ব্যাক্তিরা সেসব সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন তাদের চেয়ে ভাল সিদ্ধান্ত দিলেই সেটা খুব সম্ভব। এবং বর্তমান প্রযুক্তি আসতে আস্তে সেদিকেই যাচ্ছে। বিলিয়ন বিলিয়ন ত থ্য বিশেষণ করে মুহূর্তের মাধ্যে মানুষের পক্ষে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। যে কাজ আবার কম্পিউটার ভাল ভাবেই করতে সক্ষম। এই গুনের কারনে ভবিস্তে পরিচালক পদে দেখা যাবে কম্পিউটারের রাজত্ব। শুধু কি তাই, ইনভায়রমেন্ট এবং পারিপার্শ্বিক সব কিছু বিশ্লেষণ করে দক্ষ মানব গাড়ী চালকের জায়গাতেও দেখা যাবে বসে আছে কোন কম্পিউটার। এছাড়া কোন এলাকার জনগণের আচার আচরণ ও বিশ্লেষণ করে সেখানকার প্রান ঘাতী কোন রোগের প্রতিষেধক আবিস্কার করে  যাদুঘরে পাঠঠাতে ও ভুমিকা রাখবে বিগ ডাটা। নেটফ্লিক্স নামের জনপ্রিয় স্ত্রিমিং কোপম্পানি তাদের দর্শক দে বিষয়ে প্রাপ্ত ত থ্য ()বিগ ডাটা বিশ্লেষণ করে সে অনুযায়ী অভিনেতা, চরিত্র, কাহিনী বাছাই করে জনপ্রিয় সব শো নির্মাণ করছে। বলা হচ্ছে ভবিস্তের দুনিয়া হতে জাচ্ছে দুর্ঘটনা মুক্ত। কেননা যানবাহন চালনার দায়িত্ব চলে যাবে ক্মপিঊয়টারের উপর যারা এই বিগ ডাটা ব্যভার করে গাড়ী চালানোর সময় সব সিদ্ধান্ত নিবে যা ফলে ভুল হবার সম্ভাবনা হবে খুবই নগণ্য। এমনকি কঠিন সব দুরারোগ্য ব্যাধির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে জাচ্ছে এই বিগ ডাটা। এর ফলে সামনে দিন গুলোতে অবিস্কার হয়ে যেতে পারে ক্যান্সারে মত রোগের প্রতিষেধক।

প্রতিদিন বিভিন্ন ক্ষেত্রে কি বিশাল পরিমাণ ডাটা তরি হচ্ছে সেটা ভাবলে অবাক না হইয়ে পারা যায় না। এক সোসিয়াল মিডিয়ার কথা বলা যাক। প্রতিদিন সোসিয়াল মিডিয়াতে আপ করা হচ্ছে ৫৫ মিলিয়ন ছবি , ১ বিলিয়ন ডক  করা হচ্ছে ৩৪০ মিলিয়ন টুইট সব মিলিয়ে এগুলোর পরিমাণ ২.৫ কোয়ান্ট্রিলিয়ন বাইট ডাটা ! এসব ডাটা বিশ্লেষণ করে ই জানা যেতে পারে খুবই গুরুত্ব পূর্ণ কিছু ত থ্য জা কিনা পাল্টে দিতে পারে মানব ইতিহাস।  এক মানুষের পক্ষে এত বিশাল ডাটা বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়, আর যদি সম্ভব হয়ও তবে সে ডাটা থেকে পাওয়া ফলাফল আর এ জীবনে ব্যভার করার উপযোগী থাকবে না , কেননা তত দিনে আর ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডাটা চলে আসবে এবং আগের সব ডাটা পুরনো ব্যভার অনুপযোগী হয়ে যাবে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে বড় বড় কোম্পানি গুলোতে ডাটা এক্সেস ১০% বারানো হলে সেটা ৬৫ মিলিয়ন ডলার মুনাফা বারিয়ে দেয়! ২০২০ সালে একজন মানুষ প্রতি সেকেন্ডে ১.৭ মেগাবাইট ত থ্য ইয়তপাদন করবে। কি বিশাল পরিমাণ   ত থ্য! তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই আজকের দুনিয়ায়  জেকোন বিষয়ে সঠিক সিদ্দনাতের জন্য এসব বিশাল আকারের  ত থ্য বিশ্তেস্ন করা জরুরী। আর এই প্রয়োজন থেকেই বিগ ডাটার আবির্ভাব। বিগ ডাটা নাম থেকেই বোজা যাচ্ছে এটি আসলে কি।  আমেরিকার হোয়াইট হাউস বিট ডাটা প্রজেক্টে  জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের করেছে।

বিগ ডাটার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছেঃ
১। ভলিউম
২। ভেলোসিটি
৩। ভেরাইটি

No comments:

Post a Comment